প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২২
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে জ্ঞানভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্থবায়নে কাজ করছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাজীবীদের সংগঠন সিটিও ফোরাম। মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা ও ব্যাংকিংসহ সকল সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে অলাভজনক সংগঠনটি। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাইবার নিরাপত্তার উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে যেমন, ইনোভেশন হ্যাকাথন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ইত্যাদি।
সোমবার (২১ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার।
তিনি বলেন, আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ তরুণদের অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসংখ্য মেধাবী আইটি গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে, কিন্তু তাদের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মত দক্ষতা নেই। আমাদের তরুণরা অনেক মেধাবী। তাদের মধ্যে অনেক ইনোভেটিভ আইডিয়া রয়েছে। তরুণদের এই আইডিয়াগুলি যদি সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে, সঠিক নার্সিং করা যায়, আমার বিশ্বাস স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধানে অনেকটা ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। এ লক্ষেই কাজ করছে সিটিও ফোরাম।
জাতীয় স্বার্থে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তরুণদের সৃজনশীলতাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে এবং তারুণ্য ও প্রযুক্তির শক্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান খুঁজতে চলতি বছরের আগস্টে শুরু হয় সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনের তৃতীয় আসর।
এ বিষয়ে তপন কান্তি সরকার বলেন, বাংলাদেশ গোল্ডেন ডিভিডেন্ট যুগে রয়েছে, তরুণদের ইনোভেটিভ আইডিয়াকে সামনে নিয়ে আসতে এবং আইডিয়ার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনের আয়োজন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেন এই প্রযুক্তিবিদ। তিনি বলেন, একটা স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই। ডিজিটাল বাংলাদেশে সব জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখানে তথ্য প্রকাশে কেউ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। আমাদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সব প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে তথ্যগুলো যেনো সুরক্ষিত থাকে। ভার্চুয়ালি সমস্ত কাজগুলো যাতে সবাই সুরক্ষার সাথে করতে পারে এমন একটা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।
ইনোভেশন হ্যাকাথনের আইডিয়া রাউন্ড ও ডেমো রাউন্ড শেষে প্রতিযোগিতাটির চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠান হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় আসর।